জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে





মৌসুমি আবহাওয়ার ভারি বৃষ্টিপাতে রুটিন করে প্রতিবছরই চরম দুর্ভোগে পড়ে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। বর্ষার সামান্য বৃষ্টিতেই রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দেখা যায় হাটু থেকে ক্ষেত্রবিশেষ কোমর সমান জলাবদ্ধতা। সামান্য ভারী বর্ষণেই সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রার  এই অপ্রত্যাশিত ছন্দপতনে বহুবছর ধরে ত্যাক্ত-বিরক্ত ভোক্তভোগী সাধারণ মানুষ। প্রায়শই বর্ষার ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় দেশের জনবহুল অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সৃষ্টি হয় যান চলাচল, যাতায়াত ও পরিবেশ দূষণের মত হাজার রকমের জটিলতা। ঐসমস্ত এলাকায় ১ ঘন্টার বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি যথাযথভাবে সরাতে সময় লাগে প্রায় ৩-৪ ঘন্টা। বর্ষা মৌসুমের নিত্যদিনকার এই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে মুক্তি পেতে সরকারের প্রণয়নকৃত বেশ কয়েকটি প্রকল্প চলমান থাকলেও জলাবদ্ধতা নিরসনে মিলছে না কোনো দৃশ্যমান উন্নতি। পরিবেশ দূষণ, পানি নিষ্কাষণ বোর্ডের অতৎপরতা, নিয়মিত ড্রেইন পরিষ্কার না করার পাশাপাশি তাৎখনিকভাবে পানি নিষ্কাষণের সুব্যবস্থা না থাকার মত কারণগুলোকে জলাবদ্ধতার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিস্ট সড়কের আশেপাশে নতুন করে প্রয়োজনীয় খাল খনন কিংবা পুনঃখনন, জলাধার নির্মাণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং নিয়মিতভাবে ড্রেনগুলো পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা দূর করতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নতকরণ, খাল পুনরুদ্ধার ও পয়ঃনিষ্কাশনের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকেও এগিয়ে আসতে হবে। আশাকরি, জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্পগুলোর দ্রুত ও যথাযথ বাস্তবায়নে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা দূর করে বর্ষা মৌসুমেও আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো শিগ্রই যাতায়াত ও যান চলাচলের উপযোগী হয়ে ওঠবে।

মোঃ রাফছান
শিক্ষার্থী, মেরিন সায়েন্স, চট্টগ্রাম বিশ্বববিদ্যালয়। 

লেখক Md. Rafsan

মো. রাফছান একজন লেখক, কলামিস্ট, সংগঠক ও গ্রাফিক্স ডিজাইনার। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্স-এর শিক্ষার্থী এবং তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, চবি-র প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে তরুণদের সঙ্গে কাজ করছেন। সঠিক তথ্য, সচেতনতা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে একটি সমতা ও মানবিকতা-ভিত্তিক সমাজ গড়াই তাঁর মূল উদ্দেশ্য।

0 Comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন