“বিদীর্ণ করেছি মাটি, দেখেছি আলোর আনাগোনা, শিকড়ে আমার তাই অরণ্যের বিশাল চেতনা”- সুকান্তের এই পংক্তিতে ফুটে ওঠেছে দুর্নীতিমুক্ত, লিঙ্গবৈষম্যহীন এক উন্নত ও সমৃদ্ধ আগামীর রাষ্ট্র গঠনকারী সম্ভবনাময় আমাদের তরুণ প্রজন্মেরর কথা। সময়-অসময়ে বাঙলার এই মেধাবী তরুণরাই দেশের বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থায় দেশকে শঙ্কামুক্ত করেছে। প্রতিটা অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বাঙালিরা সফল হয়েছে এই তরুণ্যের নেতৃত্বেই। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৬ এর ৬ দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের প্রতিটা অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তরুণরাই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। তারুণ্যের বিচক্ষণ চিন্তাশৈলী, ক্ষেত্র বিশেষ বিচার বিশ্লেষণ, বিপদের দিনে তাদের নেওয়া প্রয়োজনীয় উদ্যোগই ছিল ৭১ এর স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি। দেশের ছোট-বড় উন্নয়ন মূলক, অর্থনৈতিক কিংবা সেচ্ছা কর্মে তারুণ্যের সক্রিয় অংশগ্রহণ, ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিল্প ও সেবা খাতে অভাবনীয় সাফল্য, দেশীয় প্রযুক্তির উৎকর্ষতা, শিক্ষা, তৈরি পোশাক, কৃষি খাতে অপরিমেয় অগ্রগতির মূল কারণ। সর্বক্ষেত্রে তারুণ্যের এই জয়যাত্রায়, ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্ভাবনায় উন্নয়নের প্রত্যাশিত মাইলফলকে পৌঁছে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে সম্ভবনাময় এই তরুণ প্রজন্মকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে হবে। উদীয়মান এই তরুণ প্রজন্মকে ক্ষেত্র বিশেষ নেতৃত্ব দানের সুযোগ করে দিলে ক্রমবর্ধমান সাফল্যের পথে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে দেশ। বাঙালী পাবে তারুণ্য নির্ভর একটি উন্নত, স্বপ্নীল পৃথিবী।
মোঃ রাফছান
শিক্ষার্থী, মেরিন সায়েন্স, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন