মহামারি করোনার মাঝেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে ডেঙ্গু ভাইরাস। সময়মত সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে দ্রুতই মরছে মানুষ, হাসপাতালের বেড হচ্ছে অনেক রোগীর বর্তমান ঠিকানা। ডেঙ্গু ভাইরাস, ফ্ল্যাভিভাইরাস গণের অন্তর্ভুক্ত মশা বাহিত এক সূত্রক আরএনএ ভাইরাস এবং এডিস ইজিপ্টি মশা এই ভাইরাসটির বাহক। ক্ষেত্রবিশেষ এই একই মশাই কখনও ইয়েলো ফিভার ভাইরাস, কখনও জিকা ভাইরাস আবার কখনও চিকুনগুনিয়া ভাইরাসও বহন করে থাকে। সাধারণভ ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কামড়ানোর ৬ দিনের মধ্যে একজন ব্যক্তি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। আবার, এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে জীবাণুবিহীন কোনো এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটি ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। তীব্র ডেঙ্গু জ্বর ১০৫ ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে। এই জ্বরে প্রচণ্ড মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয় বলে এই জ্বরের আরেক নাম ‘ব্রেক বোন ফিভার’। জ্বর হওয়ার ৪-৫ দিনে রোগীর পুরো দেহে লালচে দানা দেখা যায়, যাকে স্কিন র ্যাশ বলে। এই জ্বরে, শরীরেরর বিভিন্ন হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতেও তীব্র ব্যথার পাশাপাশি রক্তচাপ কমে যাওয়া, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, হঠাৎ হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলা, বমি বমি ভাব, জন্ডিস এবং কিডনিতে আক্রন্ত হয়ে রেনাল ফেইলিউরের মত অনেক সমস্যা দেখা দেয়। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী ৫-১০ দিনের মধ্যে নিজে নিজে সুস্থ হয়ে গেলেও ক্ষেত্রবিশেষ সঠিক চিকিৎসার অভাবে অনেক রোগীর মৃত্যু ঘটে। তবে, যথা সময়ে সুচিকিৎসা পেলে অনেক রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। তাই এই রোগে ঢিলেমি না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। নিয়মিত বাড়ির আশাপাশ পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি মশারি টাঙ্গিয়ে ঘুমাতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণ মানুষের সচেতনা বৃদ্ধি আগামি দিনে কমিয়ে আনবে মৃত্যুর সংখ্যা বিপরীতে বেঁচে যাবে হাজারও ভোক্তভোগী মানুষ।
মো. রাফছান
শিক্ষার্থী, মেরিন সায়েন্স, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন