পরিক্ষার হলে স্যাররা যে পরিমাণ দ্বায়িত্ব নিয়ে শিক্ষার্থীদের গার্ড প্রদান করেন, ঠিক একই পরিমাণ দ্বায়িত্ব নিয়ে যদি নিজেদের কোর্সগুলোও যথাসময়ে শেষ করতে পারতেন, তাহলে আজকে বাংলাদেশেও দুয়েকটা অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থাকতো।
আমাদের দুর্ভাগ্য, আমাদের অনেক শিক্ষকই দীর্ঘ এক বছরেও অনেক কোর্সে ২ টা ক্লাস পর্যন্ত নিতে পারেন না। কিছুকিছু ক্ষেত্রে, এমএসওয়ার্ড আর পিডিএফেই সীমাবদ্ধ থেকে যায় অনেক শিক্ষকের জ্ঞান সরবরাহের পরিধি। আমাদের দুর্ভাগ্য এই যে, আমাদের মত ফাঁকিবাজ ছাত্রদের জন্য কিছু ফাঁকিবাজ শিক্ষকই জুটেছে।
ভাগ্য-দুর্ভাগ্য ক্রমেও আমাদের কপালে কোনো দারোগা শিক্ষক জুটেনি, যারা দ্বায়িত্ব নিয়ে শাসন করেন, ভালোবাসেন, শিক্ষা দেন, একটু একটু করে গড়ে তুলেন বিশ্বমানের করে। আমরা পিছিয়ে গেছি ঐ এক যায়গাতেই, আমরা পিছিয়ে গেছি দিকনির্দেশনায়, পিছিয়ে গেছি সুশিক্ষায়, আদর্শে, দ্বায়িত্ব নেওয়ায়, আমরা শিক্ষার্থীরা আরও পিছিয়ে গেছি শিক্ষকদের অনুগত হওয়ায়।
অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজে পড়তে পাড়িনি বলে আমাদের এই তরুণ প্রজন্মের কোনো দুঃখ নেই। দুঃখ, দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বিদ্যাপীঠ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও কিছু শিখতে পারলাম না বলে, বিশ্বমানের হতে পারলাম না বলে। কে জানে, আগামি দিনে আমাদের এই দুঃখ ডানা ছড়ায় কিনা, নাকি হিসেব মিলায় স্বপ্নিল সফলতার!
মোঃ রাফছান
শিক্ষার্থী, মেরিন সায়েন্স, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন